শ্বশুরবাড়ির উপহারে অসন্তুষ্ট হয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইফতারি মনমতো না হওয়ায় ও ঈদের কাপড় না দেওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর নাম শরিফা বেগম (২২)। তিনি ওসমানীনগরের উসমানপুর তাহিরপুর গ্রামের আরজ আলীর (২৮) স্ত্রী। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আট মাস তাঁদের বিয়ে হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিনের করা মামলায় গৃহবধূর স্বামী আরজ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধারের পর বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের ভাষ্য, প্রায় আট মাস আগে পারিবারিকভাবে শরিফা বেগমের সঙ্গে আরজ আলীর বিয়ে হয়। শরিফা হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউসকান্দি সাদরবাদ গ্রামের সাকিন উল্লাহর মেয়ে। সম্প্রতি রমজানে শরিফার স্বামী ও শাশুড়ি ইফতারি দেওয়ার দাবি করেন। ১৬ রমজানে শরিফার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ইফতারি দেওয়া হয়। এই ইফতারি মনমতো না হওয়ায় অসন্তুষ্ট হন শরিফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর ঈদের নতুন কাপড় দেওয়ার দাবি জানিয়ে শরিফাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে তিনি পরিবারকে জানিয়েছেন। গতকাল ঈদের নতুন কাপড় নিয়ে শরিফার স্বজনদের তাঁর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তবে সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে শরিফার বড় ভাই ইসলাম উদ্দিনকে ফোন দিয়ে বোনের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানানো হয়। দুপুরে গিয়ে তিনি বোনকে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখতে পান। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেন, শরিফা আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরপরও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বোনকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে স্বামী ও শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেট ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।