শ্রীপুরে আবার ভেঙেছে বেইলি সেতু, জৈনাবাজার-কাওরাইদ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আবার ভেঙেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার-কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কের বেইলি ব্রিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সড়কের চৌধুরী ঘাট এলাকায়
প্রথম আলো

গত দুই দশকে অন্তত ১৫ বার ভেঙেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার থেকে কাওরাইদ সড়কের চৌধুরী ঘাট এলাকায় মাটিকাটা নদীর ওপর বেইলি সেতুটি। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেতুটি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে সেতুটি তৈরি করা হয়। কয়েক দিন ধরেই বেইলি সেতুর পাটাতনগুলোর নড়বড়ে অবস্থা দেখা যায়। আজ সকালেও যানবাহন চলাচল করেছে ঝুঁকি নিয়ে। কিন্তু দুপুরের দিকে একটি গাড়ি বসেতুটি অতিক্রম করার পরপরই পাটাতন খুলে নিচের দিকে পড়ে যায়। অবশ্য এতে কোনো যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হয়নি। এরপর থেকে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কটি শ্রীপুর উপজেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।

১৯৯৬ সালে সেতুটি তৈরি করা হয়। কয়েক দিন ধরেই বেইলি ব্রিজের পাটাতনগুলোর নড়বড়ে অবস্থা দেখা যায়। আজ দুপুরের দিকে একটি গাড়ি ব্রিজটি অতিক্রম করার পরপরই পাটাতন খুলে নিচের দিকে পড়ে যায়।

কাওরাইদ এলাকার বাসিন্দা রাহাত আকন্দ বলেন, বেইলি সেতুটির বয়স ২৪ বছর। এর মধ্যে এটি অন্তত ১৫ বার খুলে পড়েছে। প্রতিবারই এ ধরনের ঘটনায় সেতুর দুই পাশের ২০টি গ্রামের লোকজনের সড়ক চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এখানে বেইলি সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় লোকজন অনেকবার দাবি তুলেছে। কিন্তু তা কেউ বাস্তবায়ন করেনি।

স্থানীয় পোলট্রি খামারি মেহেদি হাসান বলেন, গত কয়েক বছরে কাওরাইদ ইউনিয়নজুড়ে পোলট্রি ও ডেইরি শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। এই অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যগুলো আনা-নেওয়ার জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিকল্প সহজ কোনো সড়ক নেই। যেতে হলে অন্তত ২০ কিলোমিটার বিকল্প পথে ভ্রমণ করে জৈনাবাজার হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতে হয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বেইলি সেতুর স্থায়ী সংস্কার খুব জরুরি।

শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রকিবুল আহসান বলেন, তাঁরা খবর পেয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া সেখানে সমস্যা সমাধানে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।