শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের একাংশ দখল করে ইউপি সদস্যের দোকান

ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের বারান্দার অংশ দখল করে দোকান তৈরি করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের একটি অংশ দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সম্প্রতি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলা উদ্দিন আহাম্মেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম মো. নুরুল আলম। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের বারান্দার অংশ দখল করে ইউপি সদস্য নুরুল আলম ব্যবসার উদ্দেশ্যে দোকানঘর তৈরি করেছেন।

গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, টিনশেড একটি ঘরের সামনে ‘গাজীপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়’ লেখা একটি সাইনবোর্ড টাঙানো। ওই ঘরের বারান্দার বেশির ভাগ অংশে টিন দিয়ে আলাদাভাবে দোকানঘর তৈরি করা হয়েছে। এতে কার্যালয়ের এক পাশের জানালা বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলা উদ্দিন আহাম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের জন্য ওই জমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। ঘর নির্মাণের আগে আশপাশের জমির মালিকদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় জমি মেপে নেওয়া হয়। কিন্তু সপ্তাখানেক আগে নুরুল আমিন কার্যালয়ের এক পাশের বারান্দা জোরপূর্বক দখল করেন। পরে সেখানে তিনি টিনশেডের দোকান তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন।

আলা উদ্দিন বলেন, ‘সাত বছর ধরে উনি (নুরুল) কিছুই বলেননি। অথচ মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতা পেয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. নুরুল আলমের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে গাজীপুর ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তাঁকে (নুরুল আলম) জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তবে সে ওই জায়গা দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি। ইউএনও বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছেন। আমি শিগগিরই মুক্তিযোদ্ধা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে বসব।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সমাধান করার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল তিন দফা ওই চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি।