শ্রীপুরে শিক্ষক রাসেল হত্যায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

রাসেল মিয়া

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুলশিক্ষক রাসেল মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইমরান মণ্ডলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, শিক্ষক রাসেল মিয়া হত্যার ঘটনায় আজ প্রথমে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে মামলার প্রধান আসামি ইমরান মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

গত রোববার সকালে শ্রীপুরের বিলাইঘাটা গ্রামের লবলং খালের পাশ থেকে রাসেল মিয়ার (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখানে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে রাসেলের পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত রাসেল শ্রীপুরের সিংদিঘী গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে। তিনি একই উপজেলার বারতোপা গ্রামের শিশু কানন বিদ্যানিকেতনে শিক্ষকতা করতেন। স্কুলের পাশে একটি কোচিং সেন্টারও পরিচালনা করতেন এই তরুণ।

ইমরান মণ্ডল

নিহত রাসেলের চাচাতো ভাই সরাফত আলী জানান, গত রোববার রাত ৯টার দিকে পাশের বাড়ির আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে ইমরান মণ্ডল রাসেলকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর গভীর রাতেও রাসেল ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

পরদিন সকালে বিলাই ঘাটা এলাকায় লবলং খালের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর জানতে পারেন তাঁরা। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে রাসেলের লাশ বলে শনাক্ত করেন। রাসেলের বাবা রোববারই ইমরানের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সিংদিঘী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাসেলের এক আত্মীয় জানান, ইমরান মাদকের ব্যবসা করতেন। এসব কাজে বাধা দেওয়ার কারণে রাসেল মিয়ার সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য ছিল। কিছুদিন আগে ইমরান মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। আটকের বিষয়ে রাসেলের সহযোগিতা ছিল, এমন সন্দেহে ওই সময় রাসেলকে হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান।