শ্রীবরদীতে আ.লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ‘দোষারোপের’ সংবাদ সম্মেলন

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় লোগো

শেরপুরের শ্রীবরদী পৌরসভার নির্বাচন সামনে রেখে পরস্পরকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের উত্তর শ্রীবরদী এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে শহরের সাতানী শ্রীবরদী এলাকার বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মো. আবদুল হাকিম।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, নির্বাচন সামনে রেখে ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকেরা আজ ভোরে শহরের জালকাটা এলাকায় তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে তাঁর নির্বাচনী কর্মী ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ আনসারী ও মুক্তাদির আহমেদ ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন এবং তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। হামলায় জুনায়েদ ও মুক্তাদির গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তাঁরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকেরা শহরের পোড়াগড় এলাকায় নৌকা প্রতীকসংবলিত তোরণ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবদুল হাকিম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের নৌকা নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়ে ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেপ্তারও করেছে। মামলা দিয়ে তাঁর নির্বাচনী কাজে জড়িত নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙচুর করেন এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়ে আরেকটি মামলা করেন। তিনি নির্বাচনের আগেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মো. মাহমুদুল হকও বক্তব্য দেন।

শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।