শয়নকক্ষ থেকে দম্পতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মোল্লাপাড়ায় শয়নকক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শনিবার দিবাগত রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতরা হলেন গোবিন্দপুর মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা ইয়ার আলী মোল্লা (৫৫) ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৪৫)। পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইয়ার আলী পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন মেয়েই বিবাহিত। দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। ইয়ার আলী তাঁর দ্বিতীয় রোজিনা খাতুনকে নিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতেন। পাশেই আলাদা বাড়িতে বড় ভাই মৃত মসলেম আলী মোল্লা ও মেজ ভাই ইসলাম মোল্লার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন।

গ্রামের কয়েকজন জানান, রোববার সন্ধ্যায় ইয়ার আলীর প্রথম পক্ষের ছোট মেয়ে ইতি খাতুন বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তিনি বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান ঘরের দরজা ভাঙা, ভেতরে বাবা ও সৎমায়ের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এরপর তিনি চাচা-চাচাতো ভাইসহ প্রতিবেশীদের জানান। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দম্পতি খুনের ঘটনা জানার পরপরই দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেকসহ পুলিশের বিশেষ দল ঘটনাস্থলে গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।