সংসদ সদস্যের বাগানবাড়ি থেকে তিন মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার

জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা–৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের ঢাকার সাভারের বাগান বাড়ি থেকে উদ্ধার তিনটি মুখ পোড়া হনুমান
ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা–৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের ঢাকার সাভারের বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার তিনটি মুখপোড়া হনুমান গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এগুলো হস্তান্তর করা হয়।

আজ রাতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমানগুলো উদ্ধার ও হস্তান্তরের বিষয়টি প্রথম আলোকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা কার্যালয়ের বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।

বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা বলেন, সাভারের কবিরপুর এলাকায় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়ি থেকে মুখপোড়া হনুমান তিনটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওই বাগানবাড়িতে বৈধভাবে হরিণ লালনপালন করা হয়। শনিবার দুপুরে তিনি নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে তিনটি মুখপোড়া হনুমান দেখতে পান‌। এ সময় প্রাণীগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব দিলে সংসদ সদস্য প্রথমে রাজি হননি।‌ পরে আইনগত বিষয়গুলো বুঝিয়ে বললে তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পারেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণীগুলো বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

নিগার সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের সাতছড়ি, লাউয়াছড়াসহ বেশ কিছু পাহাড়ি এলাকায় মুখপোড়া হনুমান এখনো দেখা যায়। প্রকৃতি থেকে ব্যাপকভাবে কমে গিয়ে এদের অবস্থান এখন বিপন্ন প্রাণীর তালিকায়। উদ্ধারের পর তিনটি হনুমানকে শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। সন্ধ্যায় সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কাছে প্রাণীগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাণীগুলো উদ্ধার হয়নি, বরং বন বিভাগকে এগুলো আমি গিফট করেছি‌। এর আগেও আমি তাদের ভল্লুক গিফট করেছিলাম। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন আসার পর তাদের লোকজন এগুলোকে ধরতে পারছিল না। আমার লোকজন হনুমান তিনটিকে ধরে তাদের হাতে তুলে দেয়।’ হনুমান তিনটি কোথায় পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এগুলো যারা ধরে তারা বাচ্চা অবস্থায় আমাদের দেয়, আমরা পালি। আমার কাছে বানর আছে, উটপাখি আছে। বিশাল চিড়িয়াখানা এটা।’