কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আজ রোববার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক গণসংযোগে বের হন। প্রচারণা চলাকালে দুই প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। ১৫ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় নগরের মোগলটুলি পূবালী টাইলস ও স্যানিটারি এলাকায় গণসংযোগ করেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক। এ সময় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় সদর রেজিস্ট্রি অফিস এলাকায় যান তিনি। দুপুর ১২টায় কুমিল্লা ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জমির উদ্দিন খান ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন প্রমুখ।
এ সময় আরফানুল বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। কুমিল্লা নগরের জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন করা হবে।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফুনকা ইটভাটা এলাকায় গণসংযোগ করেন। বেলা একটায় নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীনাথপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় আরফানুল হকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অপপ্রচার না চালিয়ে ভোটারদের কাছে যান। ভবিষ্যতে কী কী করবেন, তা বলেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক বলেন, কানাডায় মনিরুলের সহধর্মিণীর বাড়ি আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মনিরুল এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কানাডায় থাকে। আরফানুল যদি প্রমাণ করতে পারেন, কানাডায় তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে বাড়ি আছে, তাহলে তিনি তা আরফানুলকে দিয়ে দেবেন। আর প্রমাণ করতে না পারলে ফেনীতে আরফানুলের যে বহুতল মার্কেট আছে, তা যেন তাঁকে দিয়ে দেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আরও তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন— মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক), কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা)।