সকালের চেয়ে রাতে জোয়ারের উচ্চতা কম, স্বস্তি বরগুনা উপকূলে

জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যাওয়া সড়ক সংস্কার করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বুধবার মধ্যরাতে বরগুনা সদর উপজেলার কালিরতবক এলাকায়
ছবি: মোহাম্মদ রফিক

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের চাপে গত দুই দিনে একের পর এক বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার দুই শতাধিক গ্রাম। তবে ভারতে ইয়াস আঘাত হানার পর কমতে শুরু করেছে জোয়ারের উচ্চতা।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকাল বুধবার সকালের জোয়ারের চেয়ে রাতের জোয়ারে কমেছে পানির উচ্চতা। এতে স্বস্তি ফেরা শুরু করেছে বরগুনার নদী ও সমুদ্রের তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৬৮ মিটার এবং রাতের জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৪৮ মিটার, যা দিনের জোয়ারের থেকে ২০ সেন্টিমিটার কম। গতকাল দিনের জোয়ারের সময় বরগুনার নদ-নদীতে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও রাতের জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, যা দিনের জোয়ারের থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার কম।

পাউবো বরগুনার পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, গতকাল রাতে পূর্ণিমা ছিল। তাই ধারণা ছিল, দিনের জোয়ারের চেয়ে রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি হবে। কিন্তু তা না হয়ে দিনের থেকেও রাতের জোয়ারের পানির উচ্চতা হয়েছে কম।

বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে গুলবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা হাতেম আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী সময়ে জোয়ারের উচ্চতা একবার কমা শুরু করলে সাধারণত আর বাড়ে না। এরপর পানির উচ্চতা কমতে কমতে একেবারে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। তাই ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতা আর বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই।

বরগুনা সদরে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের সমাজসেবক মুজিবুল হক বলেন, জোয়ারের তোড়ে পায়রা নদের তীরবর্তী জাঙ্গালিয়া এলাকার বাঁধের একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বরগুনার পাউবো কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জরুরিভাবে তা মেরামত করে দিয়েছেন।

পাউবো বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম বলেন, গতকাল দিনের জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে জেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে ভাটার সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু রাতের জোয়ারের পর কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে বা উপচে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।