সন্ত্রাসের ঝুঁকি এড়াতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন । সোমবার রাঙামাটি চং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে।
প্রথম আলো

সন্ত্রাসের ঝুঁকি এড়াতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে যদি কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হয়, তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমারসহ পার্শ্ববর্তী দেশেও প্রভাব পড়বে। এখন পর্যন্ত ২ দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। ভাচানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা অনেক সুখে আছে। যারা গেছে, এখন তারা তাদের আত্মীয়স্বজনকে সেখানে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ভারত ও চীন উদ্যোগী হলে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। কিন্তু আন্তরিকতার অভাবে এখনো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

এর আগে অ্যাডভেঞ্চার উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য আব্দুল মোমেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটন ও অ্যাডভেঞ্চারে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের উৎসবে দেশে-বিদেশে রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের আগ্রহ বাড়াবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের আয়রোজগার বেড়ে যাবে।

সকাল ১০টায় রাঙামাটি শহরের চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। বক্তব্য দেন রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইফতেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন ও উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম নিজামী প্রমুখ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের আয়োজন করে। গত বছরের ১১ জানুয়ারি অ্যাডভেঞ্চার উৎসব শুরু হয়। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন ও অ্যাডভেঞ্চারকে জনপ্রিয় করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ১৫ জানুয়ারি অ্যাডভেঞ্চার উৎসব শেষ হবে।

অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগী উদ্বোধনের পর ৩ পার্বত্য জেলায় ভাগ হয়ে গেছেন। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ৪০ জন এবং খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৩০ জন করে। বেলা সাড়ে ৩টায় রাঙামাটিতে ৪০ জন অংশগ্রহণকারী ঘাগড়াছড়া কলাবাগান এলাকায় ট্রেইল রান ও রেপলিং করেছেন। কাল রাঙামাটির দলের জন্য রয়েছে কাপ্তাই হ্রদে সকালে কায়াকিং ও বিকেলে রোক কোর্স। খাগড়াছড়ির দলের জন্য রয়েছে রিসাং ঝরনায় ক্যানিওনিং ও আলুটিলায় কেভ ডিসকভারি এবং বান্দরবানে রয়েছে রিজুক ঝরনায় ট্রেকিং, সাঙ্গু নদীতে কায়াকিং।