সব প্রস্তুতি শেষে নরেন্দ্র মোদির অপেক্ষায় ঈশ্বরীপুর

নরেন্দ্র মোদি
ফাইল ছবি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে সাতক্ষীরায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিতে আসবেন। সফরটি খুবই সংক্ষিপ্ত হলেও আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এদিকে নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা রাত–দিন ২৪ ঘণ্টা টহল ও তদরক করছেন।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। হেলিপ্যাড থেকে সড়কের দুই ধারে নান্দনিকভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালীমন্দির সাজানো হয়েছে অন্য সাজে। দেখলে যে কারও ভালো লাগার কথা, মুগ্ধ হওয়ার কথা।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরসহ সংস্কার করা হয়েছে কালীমন্দির সংলগ্ন সড়ক। নির্মাণ করা হয়েছে চারটি হেলিপ্যান্ড। মেডাল ডিটেক্টর, সিসিটিভি ক্যামেরা, লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্রামের বিষয়টিও মাথায় রেখে নতুন আঙ্গিকে বিশ্রামাগার সাজানো হচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে সাতক্ষীরা–শ্যামনগর সড়কে তল্লাশি চালাচ্ছেন র‌্যাব সদস্যরা। গত মঙ্গলবার সড়কের আলীপুরে
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশ সুপার জানান, নরেন্দ্র মোদি শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে শ্যামনগর এ সোবাহান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করার কথা রয়েছে। পরে যশোরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেওয়ার পর ১০টা ১০ মিনিটে মন্দির ত্যাগ করবেন। এরপর তিনি হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে গোটা সাতক্ষীরা। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে এসএসএফ। তাদের সঙ্গে রয়েছেন অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

র‌্যাব-৬–এর সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. বজলুর রশিদ ও সহকারী পুলিশ সুপার এইচ এম শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক, সমগ্র সাতক্ষীরা জেলা, শ্যামনগর উপজেলা এলাকাসহ যশোরেশ্বরী কালীমন্দির সংলগ্ন এলাকায় দিন–রাত মহড়া, টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার উদ্দেশ্যে অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে।