সবজিতে বাজার ভরপুর, দাম চড়া

সিলেট নগরের লালবাজার এলাকার এক সবজির দোকানে ফুলকপি দেখে দাম জিজ্ঞেস করলেন এক ক্রেতা। বিক্রেতা বললেন, ‘এক দাম ১২০ টাকায় নিতে পারবেন’। এত দাম শুনে ক্রেতা বললেন, ‘আরেকটু কম হয় না?’ তাঁর উত্তরে বিক্রেতার সাফ কথা, ‘এই দামে পোষাইলে নেন।’

বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ প্রচুর হলেও সিলেটে সবজির দাম আকাশছোঁয়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। নগরের বন্দরবাজার, ব্রহ্মময়ীবাজার, মদিনা মার্কেট, রিকাবীবাজার ও আম্বরখানা এলাকার পাঁচটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গাজর ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, শসা, বাঁধাকপি ও ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মুলা, কাঁকরোল, কচুমুখী ও বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

শীতের সবজির যখন আগাম সরবরাহ শুরু হয়, তখন প্রতিবছরই দাম একটু বেশি থাকে। দাম সহনীয় অবস্থায় চলে আসবে।
ফারুক মিয়া, বিক্রেতা

কেবল পটোল ও পেঁপের দাম তুলনামূলকভাবে একটু কম দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি পটোল ৩০-৪০ টাকা ও পেঁপে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া বরবটি প্রতি আঁটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের দামও বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম তুলনামূলকভাবে দাম অনেক কমবে। এখন আগাম সবজি কেবল আসতে শুরু করায় পাইকারি বাজারে দামও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।

ব্রহ্মময়ী সবজির বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, শীতের সবজির যখন আগাম সরবরাহ শুরু হয়, তখন প্রতিবছরই দাম একটু বেশি থাকে। তবে কিছুদিনের মধ্যে দাম সহনীয় অবস্থায় চলে আসে।

বাজারে এত এত সবজির সরবরাহ, এরপরও দাম কেন চড়া, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব সবজি বিক্রেতাদের কাছে নেই
রবিউল ইসলাম, ক্রেতা

নগরের শাহি ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে দাম বেশি থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের বেশি দামে এসব সবজি কিনতে হচ্ছে। বাজারে এত এত সবজির সরবরাহ, এরপরও দাম কেন চড়া, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব সবজি বিক্রেতাদের কাছে নেই। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের আয়রোজগার কম, এর মধ্যে চড়া দামের কারণে সাধারণ মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। বাজারে প্রশাসনের নজরদারিও নেই।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইমরুল হাসান বলেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। প্রয়োজনে সবজির বাজারে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে।