সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের জন্য বিএনপি নেতা মিনুর দুঃখ প্রকাশ

মিজানুর রহমান মিনু
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি তাঁর বক্তব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

মিজানুর রহমানের পক্ষে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। মুঠোফোনে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘ওটা ঠিক আছে। আমিই বিবৃতি দিয়েছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে আমার (মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, রাজশাহীর সাবেক মেয়র, সাবেক এমপি) বক্তব্যের জন্য যাঁরা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন, আমি তাঁদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।’

বিবৃতির একাংশে বলা হয়েছে যে ২ মার্চ মঙ্গলবার সমাবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে সর্বসাধারণকে সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। সব যানবাহনসহ এমনকি খাবার দোকান বন্ধ ছিল, যা ইতিপূর্বে রাজশাহীতে ঘটেনি এবং নেতা–কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে।

পরের অংশে বলা হয়েছে, ‘আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষকে উদ্দেশ্য করে আক্রোশমূলক বক্তব্য প্রদান করা আমার স্বভাববহির্ভূত। তাই সবাইকে আমার বক্ত্যব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের বক্তব্যের একাংশে মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ‘অশোভন’ মন্তব্য করেন।

এর পরের দিন বিকেলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়ে মিজানুর রহমান মিনু এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই দিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ রাজশাহী নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ সময় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনুকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার ঘোষণা দেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পার হয়। রোববার বেলা ১টা ২৮ মিনিটে গণমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করার ই-মেইল বার্তা পাওয়া যায়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় তাঁরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন। বিবৃতি সন্তোষজনক না হলে মামলা করা হবে।