সম্পার বাবার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি বাজারে মঙ্গলবার ভ্যান চালাতে দেখা যায় শিশু তাহাজ্জত সম্পাকে। আজ বুধবার তার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথম আলো

জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি গ্রামের তাহাজ্জত সম্পা ভ্যান চালিয়ে অসুস্থ বাবার চিকিৎসা ও সংসারের খরচ জোগাচ্ছিল। এখন থেকে তাকে আর ভ্যানের হ্যান্ডেল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না। তার বাবার চিকিৎসা, তাদের জন্য নতুন একটি পাকা ঘরসহ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে জামালপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াছমিন সম্পার বাবা শফিকুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) পাঠান। একই সঙ্গে তাঁদের ঝুপড়িঘর ভেঙে একটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, সম্পার ভ্যান চালিয়ে বাবার চিকিৎসা ও সংসার খরচের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্পার বাবার চিকিৎসা ও তাদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

গত মঙ্গলবার ‘ছোট দুই হাতে সম্পা টানছে বড় সংসার’ শিরোনামে প্রথম আলোর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্পাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সম্পা সদর উপজেলার নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তার পরিবারের চার সদস্য। পাঁচ বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় সম্পার বাবা শফিকুল ইসলাম (৪০) স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম হয়ে পড়েন। শফিকুল ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। সংসারের হাল ধরতে বছরখানেক আগে ছোট মেয়ে সম্পা ভ্যানটি চালানো শুরু করে। সেই আয় দিয়ে শফিকুলের চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চলত।

সম্পা বলে, তাদের কষ্টের জীবন দেখে প্রধানমন্ত্রী তার বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। বাবাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। একটি পাকা ঘরও নির্মাণ করা হচ্ছে। সে অনেক খুশি। আর শফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছেও কৃতজ্ঞ।

আরও পড়ুন