সম্ভাব্য দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

আসন্ন ভোলা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সম্ভাব্য দুই কাউন্সিল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে ও ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ভোলা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী ও বর্তমান কাউন্সিল মো. মঞ্জুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। দুজনই আওয়ামী লীগের সদস্য। এ পৌরসভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।

অবিনাশ নন্দী ভোলার একটি হোটেল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী মাঠে নিরাপত্তা বিধান ও হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন ভোলা পৌরসভার নির্বাচনে তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে কুশল বিনিময় করেন এবং ভোট প্রার্থনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে পৌরসভার ইলিশা বাসস্ট্যান্ড ভদ্রেরপুল এলাকায় কুশল বিনিময় করতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ১২-১৪ জন সমর্থক ছিলেন। এ সময় মঞ্জুর আলম ও তাঁর বড় ভাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাইসুল আলম, ছোট ভাই ছাত্রদলের নেতা মাইনুল আলমের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। তাঁর মাথায় রড দিয়ে বাড়ি দিলে তিনি এক হাতে প্রতিহত করেন, পরে মাটিতে পড়ে যান। হামলাকারীরা তিনি (অবিনাশ নন্দী) ছাড়াও তাঁর সমর্থক মোস্তফা চৌধুরী, মো. নোমান, পার্থ নন্দী, সুমন দে, মো. টুটুল, শুভ ও শাওনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করেন। তাঁদের মধ্যে সুমন, টুটুল, পার্থ ও নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মঞ্জুর আলম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ওয়ার্ডের মুরব্বিদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ না করে নির্বাচনে অংশ নেন না। গত তিনবার তিনি কাউন্সিলর। প্রতিবার এটি করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে মুরব্বিদের নিয়ে একটি সভা ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি বুধবার ভোরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান। ভদ্রেরপুল এলাকায় গেলে অবিনাশ নন্দীর কর্মী মোস্তফা চৌধুরী লাঠি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মী মো. ইউসুফকে পেছন থেকে হামলা করেছেন। তিনি খালের মধ্যে পড়ে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে তাঁর কর্মী বেনু, আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, তালহা, খোকনসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। অবিনাশের যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরা বহিরাগত।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।