সরকারি গাছ কাটলেন বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতকবাজার সড়কের পাশ থেকে বুধবার সাতটি গাছ কেটে ফেলা হয়।
প্রথম আলো।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সড়কের পাশের কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নির্দেশে এ গাছগুলো কাটা হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক বাজার সড়কের (গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে) কড়ইসহ নানা জাতের গাছ কাটছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। সরকারি গাছ কাটার এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী আটক করেন শ্রমিকদের। খবর দেন নবীগঞ্জ উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)।

ইউএনও উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মহসিন ভূঁইয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, শ্রমিকেরা সাতটি গাছ কেটে ফেলেছেন। পরে ওই গাছগুলো জব্দ করা হয়। পাশাপাশি আটক করা হয় ছয় শ্রমিককে। শ্রমিকেরা বলেন, তাঁরা গজনাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল ও সদস্য আবদুল আলীর নির্দেশে এ গাছ কাটছিলেন।

ইমদাদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছগুলো কাটা হয়নি। সম্প্রতি ঝড়ে পড়ে যায়। ইউনিয়ন অফিস গাছগুলো সড়ক থেকে সরানোর কাজ করছিল। আবদুল আলীও একই কথা বলেন।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমানকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করে। ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মহসিন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি গাছ কাটার সত্যতা পান। কাটা গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। নবীগঞ্জের ইউএনও শেখ মহিউদ্দিন বলেন, প্রশাসন গাছ কাটার বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে।