সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে
ছবি: শফিকুল ইসলাম

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের সদস্যরা দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৫০টিরও বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তারা বরাবরই শোষণ, নির্যাতনের শিকার। প্রতিনিয়ত তাঁদের হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, উচ্ছেদ, জমি দখল করা হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনের নিত্যদিনের ঘটনা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরদের এমন সংকট পরিস্থিতিতে গত ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে কেউ এতে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি। যদি ৫ শতাংশ কোটা থাকত তাহলে বরাবরের মতো ১৫ থেকে ২০ জন এতে সুপারিশপ্রাপ্ত হতেন।

তাঁরা আরও বলেন, কিছুদিন আগে সারা দেশে মেডিকেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। এতে ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের আটটি আসন বরাদ্দ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে চারটি আসন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরদের দেওয়া হয়েছে। বাকি চারটিতে অ-আদিবাসী বরাদ্দ পেয়েছেন। অবিলম্বে ওই চার আসন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় বিবেচনায় নিয়ে বরাদ্দ দিতে হবে। তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ দরকার। এ জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল রাখতে হবে। তাঁদের সেই অধিকার আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ মুণ্ডার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, সদস্য বিভূতিভূষণ মাহাতো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সুশান্ত কুমার মাহাতো, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীণ সরদার প্রমুখ। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগরের নির্বাহী সদস্য তামিম শিরাজী। আর সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নকুল পাহান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আদিবাসীদের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন চাকরিতে কোটার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।