সরাইলে নৌকার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ জামানত হারাচ্ছেন ৪২ জন

ব্যালট বাক্স
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৪২ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাঁদের জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ ১০, জাতীয় পার্টির ৫ ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তৃতীয় ধাপে গত ২৮ নভেম্বর সরাইল উপজেলার ৯টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইলের ৯টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ৬৮ জন। এখানে নয়টি ইউপিতেই ছিল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অপর দুটিতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলীকচ্ছ ইউপিতে মোট ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ৭৯৪। ইউপি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটারদের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তাই কালীকচ্ছ ইউপিতে একজন প্রার্থীকে জামানত ফিরে পেতে সর্বনিম্ন ২ হাজার ৯৯ ভোটের প্রয়োজন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকেয়া আক্তার পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৮ ভোট। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ইদ্রিস মোহাম্মদ খান ২৩২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শরীফ চৌধুরী ৩৭৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী অহিদুজ্জামান লস্কর ১ হাজার ১৬২ ভোট, আলী জান ৮৬৮ ভোট ও শেখ আতাউর রহমান ১ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।

এদিকে নোয়াগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলামসহ ৭ জন, পাকশিমুল ইউপিতে ১০ জন, অরুয়াইলে ১, সদরে ১, শাহবাজপুরে ৫, পানিশ্বরে ৮, শাহজাদাপুর ও চুন্টা ইউপিতে ২ জন করে জামানত হারাচ্ছেন।

৪২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, নির্বাচনের আগে প্রত্যক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ইউনিয়নের মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে জামানত ফেরত পাবেন। যেসব প্রার্থী এ পরিমাণ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন, ওই সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

সরাইলে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাশেদ প্রথম আলোকে জানান, সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।