সরাইলে পুলিশ ক্যাম্পে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হেফাজতের সমর্থকেরা হামলা চালায়। হামলার পর পুলিশ ক্যাম্পের চত্বরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল। গত ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তোলা ছবি
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ ধামাউড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (৫৫), আবদুল জব্বার (২৮) ও আবু বকর (৩২)। তাঁদের মধ্যে ইসলাম উদ্দিন ও আবদুল জব্বার মামলার এজাহারভুক্ত এবং আবু বকর ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বেলা দুইটার দিকে অরুয়াইল বাজারে মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ, মাহমুদুর রশিদ ও অলিউল্লাহর নেতৃত্বে কয়েক হাজার মাদ্রাসাছাত্র ও স্থানীয় লোকজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে লাঠিসোঁটা নিয়ে অরুয়াইল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজের মাঠে সমাবেশ করেন। তাঁরা সবাই হেফাজতের সমর্থক।

সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালান হেফাজতের সমর্থকেরা। এতে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবীর হোসেনসহ অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল চন্দ্র মজুমদার বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে ৬৫ জনের নামোল্লেখ করে সরাইল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে। গত ২৭ মার্চের হামলার ঘটনায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ২৮ মার্চ থেকে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।