সরাইলে সংঘর্ষে আহত নারীর মৃত্যু

পূর্ববিরোধের জের ধরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ।  কাটানিশা গ্রাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৮ জুলাইফাইল ছবি
সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। কাটানিশা গ্রাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৮ জুলাই
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত জুলাই মাসে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত আনোয়ারা বেগম (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।


আনোয়ারা উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশা গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী। এই মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছালে তাঁর পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাটানিশা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মিজানুর রহমান খান ও অলি মিয়া। ওই নির্বাচনে মিজানুর রহমান খান বিজয়ী হন। ওই নির্বাচন থেকেই উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে তুচ্ছ বিষয়ে কয়েক দিন পরপর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৭ ও ৮ জুলাই টানা দুই দিন উভয় পক্ষের কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

ওই দিন পুলিশের চার সদস্য, আনোয়ারা বেগমসহ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়। পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫টি রাবার বুলেট ছোড়ে। ওই দিন পুলিশ ৭ নারীসহ ১৭ জনকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ওই ১৭ জনসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। ওই মামলার আসামিদের অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় আনোয়ারার মেয়ে জায়েদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জুলাই আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন।


সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। কাটানিশা গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী একটি মামলা করেছে।