সরাইলে হরতালে থানায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অবস্থিত খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ডাম্পিং হরতাল সমর্থকেরা পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের আল আমিন (৩৫), শেখ আরিফ মিয়া (১৮) ও রাশিদুল ইসলাম (১৮)।

গতকাল বুধবার রাতে সরাইল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ আল-আমিনের কাছ থেকে হাইওয়ে পুলিশের ডাম্পিং থেকে লুট হওয়া একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করেছে।

পুলিশ জানায়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় গত ৩১ মার্চ খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সরাইল থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে তিন থেকে চার হাজারজনকে। মামলাটি তদন্ত করছেন সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন এজাহারভুক্ত। বাকি ছয়জন সন্দেহভাজন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই তিনজনের মধ্যে আল-আমিন ঘটনার দিন হাইওয়ে পুলিশের ডাম্পিং থেকে লুট হওয়া দু-তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা লুটে নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি হাইওয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালের সমর্থকেরা খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, কম্পিউটার, রেকার, সাঁজোয়া যান, দুটি পিকআপ ভ্যান, গুলিসহ পাঁচটি অস্ত্র পুড়িয়ে দেয়। পুলিশের ডাম্পিংয়ে থাকা রেকার ও পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে হরতাল–সমর্থকেরা। লুট করা হয় একাধিক অটোরিকশা।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই তিনজনের মধ্যে আল-আমিন এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা লুটের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।