সরিষাবাড়ীতে এক পরিবারের ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মারধর করে নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে এক পরিবারের ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাবা অভিযোগটি জমা দেন। উপজেলার একটি গ্রামে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

আহত ১৩ বছর বয়সী কিশোর বর্তমানে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ, নির্যাতনের শিকার কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি দোকানের সামনে যায়। এ সময় গ্রামের দুলাল মিয়া (৩০) তাকে ডেকে দোকানের সামনে থেকে পাশে নিয়ে যান। পরে দুলাল তাদের বাড়ির টেলিভিশন চুরির অভিযোগে ওই কিশোরকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ঘরের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে কিশোরকে মারধর করেন দুলাল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। এ সময় কিশোরকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়।

রাতে দুলালের ভাই দেদুল মিয়া গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে বাড়িতে রেখে যান। এ সময় তিনি কিশোরের পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলেন, চিকিৎসকের কাছে নিলে ঘরবাড়ি ভেঙে দেবেন তাঁরা। বিষয়টি জানাজানি হলে গত শনিবার বিকেলে কিশোরের ফুফু তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কিশোরের বাবা দিনমজুর। তাঁর ভাষ্য, ‘মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার পুলাডারে ধইরে নিয়ে বাইধে হাতুর দিয়ে মারছে। আমি এর বিচার চাই।’

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘চুরির অভিযোগে কিশোরকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে শুনেছি। নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আহত কিশোরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।