সরিষাবাড়ীতে দোয়া মাহফিল ঘিরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ভাঙচুর

পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর পড়ে আছে ভাঙা চেয়ার। রোববার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আরামনগর বাজারে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে পুলিশ বাধা দিতে এলে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় দলীয় কার্যালয়ের অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে নিবন্ধনবিহীন ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।

পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতা–কর্মীর কথা–কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ বলছে, বিএনপি নেতা–কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারেন। পরে পুলিশ নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিপেটা করে। এর মধ্যে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাঙচুর হয়। এ সময় কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ঘটনায় আরামনগর বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দোয়া মাহফিলের সময় পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁদের অনুষ্ঠানে হামলা করেছেন। হামলা করে দলীয় কার্যালয়ের অর্ধশতাধিক চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছেন। এ সময় ১০–১৫ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রফিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ছয়টি নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।