সরিষাবাড়ীর পাঁচটি গ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, এক শিক্ষার্থী আহত

দুপুরে কালবৈশাখীতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পাঁচটি গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়। কাশিনাথপুর গ্রামের গণকবরের সামনে ঝড়ে বিধ্বস্ত গাছ
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে আওনা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। এই ঝড়ে দুই শতাধিক গাছপালা ও অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সময় গাছের নিচে চাপা পড়ে রিয়া খাতুন (২০) নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আওনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেলা দুইটার দিকে প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, টিকরাপাড়া, তরুণীআটা, কালিকাপুর ও গোয়ালবাতান—এই পাঁচটি গ্রামের তিন শতাধিক ফলদ, বনজ গাছপালা ভেঙে ঘরবাড়ি ও সড়কের ওপর পড়ে যায়। বাতাসের তোড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের চালা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় ও ভেঙে পড়ায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।

ঝড়ের সময় গাছের নিচে চাপা পড়ে কাশিনাথপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে রিয়া খাতুন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেলিম মিয়া বলেন, ‘বাতাসের সময় আমার মেয়ে উঠানে কাজ করতেছিল। এ সময় গাছ ভেঙে মেয়ের ওপর পড়ে। পরে মেয়েডারে গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’

কাশিনাথপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মাসুদ মিয়া বলেন, ‘বাতাসে আমার সব উইড়ে নিয়ে গেছে। এহন কীভাবে আকাশের নিচে থাকমু?’

আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাস্টার বলেন, ঝড়ে এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি কাশিনাথপুর গ্রামে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য দেওয়া হবে।