সাংবাদিক অশোক সেনের দেশপ্রেমের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান

রোববার সাংবাদিক অশোক সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়
মনিরুল ইসলাম

সাংবাদিক অশোক সেনের সততা ও দেশপ্রেমের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রথম আলো যশোর বন্ধুসভা ও অশোক সেন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে স্মরণসভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান। আজ রোববার বিকেলে আশোক সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর প্রথম আলো কার্যালয়ে স্মরণসভাটি হয়।

সভার শুরুতে অশোক সেনের প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বন্ধুসভার বন্ধু ইন্দ্রানী অধিকারী ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গান পরিবেশন করেন। পরে বন্ধুসভার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণা করা হয়।

স্মৃতিচারণা করেন যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য সুকুমার দাস, শহরের ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের প্রভাষক শাহ্জাহান কবীর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক পারভীনা খাতুন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার বন্ধু মুরাদ হোসেন।

বক্তারা বলেন, অশোক সেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু তিনি সনদপত্র নিয়ে গেজেটে নাম লেখাতে কখনো আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর দেশপ্রেমের আদর্শ অনুসরণ করলে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।

অশোক সেনকে হারিয়ে যশোরের সাংবাদিকেরা একজন অভিভাবককে হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক এইচ আর তুহিন। তিনি আরও বলেন, অশোক সেনের সেই ঘাটতি ১০ বছরেও পূরণ হয়নি। সাংবাদিকতা দিন দিন যেন পথ হারিয়ে ফেলছে। এ জন্য অশোক সেনের মতো সাংবাদিকদের আদর্শ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

অশোক সেনের আর্থিক অভাব থাকলেও অসৎ পন্থায় টাকা উপার্জন করেননি বলে জানান অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা জীবনে অন্যায়ের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। কোনো ধরনের লোভ-লালসা তাঁকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি।

সাংবাদিক অশোক সেন প্রথম আলো যশোর কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।