‘সাংসদের বিরোধিতার পরেও বিজয়ী নৌকা’

আবুল কালাম আজাদ

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে। তবু নির্বাচনে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তাঁর অভিযোগ, সম্পর্কে চাচা হওয়ায় বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেছেন সাংসদ।

জানতে চাইলে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তাই তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। অবশ্য, ধানের শীষের প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এ এফ এম তারেক বলেন, ‘ভাতিজা রাজীর সব লোক আমার পক্ষে থাকলে ধানের শীষই বিজয়ী হতো। ওর ফাইভ পারসেন্ট লোক আমার পক্ষে ছিল। আগামী নির্বাচনে ওরে (সাংসদ রাজী) বিপদে ফেলতে এসব কথা ছড়াচ্ছে।’

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত ৩ ডিসেম্বর মারা যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। শূন্য পদে গত রোববার উপনির্বাচন হয়। মোট ভোট ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০২টি। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০টি। নৌকার প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ৯৫ হাজার ৫৬৪ ভোট পান। ধানের শীষের তারেক পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৪২ ভোট।

বিজয়ী প্রার্থী আজাদ গতকাল সোমবার চান্দিনা সড়কের নির্বাচনী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। এতে তিনি বলেন, উপনির্বাচনে তাঁর পক্ষে ছিলেন না দলীয় সাংসদ রাজী, তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মী ও বেশির ভাগ ইউপি চেয়ারম্যান। তবু নৌকা বিজয়ী হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কিছু লোক ওদিকে (ধানের শীষে) চলে গেছেন। কী কারণে গেছেন, বলতে চাই না। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানও দলের প্রার্থীর পক্ষে গুরুত্বসহকারে কাজ করেননি। আর পৌর এলাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল। ফলে ভোট কম পেয়েছি।’