সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ৩ জেলে

ট্রলারডুবি
প্রতীকী ছবি

বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলার এফবি বিলকিসের নিখোঁজ তিন জেলেকে এক দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা যায়নি। গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের হাইরের চর এলাকায় ২৪ জন জেলে নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর চার ঘণ্টা পর ২১ জেলেকে উদ্ধারে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এবং এফবি বিলকিস ট্রলারের মালিক লিটন হাওলাদার আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, বঙ্গোপসাগরে হাইরের চর এলাকায় এফবি বিলকিস ট্রলারে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারে ২৪ জন জেলে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জেলেকে চার ঘণ্টা পর ওই এলাকার একটি ট্রলারে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও অন্য তিন জেলেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি চোখের সামনে উল্টে যায়। এরপর আর কিছু মনে নেই। পরে আমাদের ২১ জন জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও অন্য তিন জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গিয়াস উদ্দিন, এফবি বিলকিস ট্রলারের মাঝি

নিখোঁজ জেলেরা হলেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুবর্ণচর এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫), ওই একই এলাকার রিয়াজ হোসেন (২০) এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দা ট্রলারের মিস্ত্রি মো. কালাম মিয়া (৪০)।

এফবি বিলকিস ট্রলারের মাঝি গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি চোখের সামনে উল্টে যায়। এতে ওই ট্রলারের ২৪ জন জেলেসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর আর কিছু মনে নেই। পরে আমাদের ২১ জন জেলেকে উদ্ধার করা গেলেও অন্য তিন জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই তিন জেলে হয়তো বা আর বেঁচে নেই।’

কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, নিখোঁজ তিন জেলে উদ্ধারে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড ও নিদ্রা-সকিনা কোস্টগার্ড পৃথকভাবে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।