সাগরে বিকল নৌকায় রসদ পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ চারজন

বঙ্গোপসাগর
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার একটি বিকল নৌকার জন্য জ্বালানি তেল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গিয়ে নৌকাসহ নিখোঁজ হয়েছেন চারজন। ৫ নভেম্বর নৌকা বিকলের খবর পেয়ে ওই দিনই তেল ও খাবার নিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা উপকূল থেকে সাগরে রওনা হন তাঁরা। প্রায় সপ্তাহ হতে চললেও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সাগরে বিকল হয়ে পড়া নৌকাটি এর মধ্যে উপকূলে ফিরে এসেছে।

নিখোঁজ চারজন হলেন উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে ইকবাল হাসান (১৬), একই এলাকার জাফর আহমদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৮), ছাবের আহমদের ছেলে আবদুল মন্নান (১৮) ও গুরা বাসির ছেলে মো. হেফাজ (১৩)। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ নভেম্বর গন্ডামারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শফি আলমের নৌকা মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। সেখানে নৌকাটি বিকল হয়ে যাওয়ার খবর পেলে ওই নৌকার জন্য আরেকটি নৌকায় করে জ্বালানি তেল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ৫ নভেম্বর সাগরে যান ইকবাল, হাবিবুর, মন্নান ও হেফাজ। কিন্তু এর মধ্যে বিকল হয়ে যাওয়া নৌকাটি উপকূলে ফিরে এলেও ফিরে আসেনি রসদ নিয়ে যাওয়া চারজন।

আমরা একটি নৌকা ভাড়া করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। তবে এখনো কারওই খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নাজমুল হক, উপপরিদর্শক (এসআই), বাঁশখালী থানা

এদিকে থানা প্রশাসন ও নৌকার মালিকপক্ষ আলাদাভাবে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও এক সপ্তাহেও চারজনের সন্ধান মেলেনি। উপকূলে ফিরে না আসায় নিখোঁজ চারজনের পরিবারে আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে। তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটল, তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবারের লোকজন।

নিখোঁজ ইকবাল হাসানের চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহেও খোঁজ পাওয়া গেল না চারজনের। জানি না তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটল। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা একটি নৌকা ভাড়া করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। তবে এখনো কারওই খোঁজ পাওয়া যায়নি।’