সাত দিন ধরে নিখোঁজ ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা থেকে নিখোঁজের সাত দিন পর মো. মালেক (২৯) নামের এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে পুলিশ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বড়খাল এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এর আগে পুলিশ দুই সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করে। সেখান থেকেই মালেকের লাশের হদিস মেলে।

নিহত ইজিবাইকচালকের বাড়ি ওই উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম দুলাল মণ্ডল। ১২ অক্টোবর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর স্ত্রী মেলান্দহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বড়খাল এলাকার শফিকুল ইসলাম ও মো. আমজাদ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল ইজিবাইকচালক মালেককে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে মালেকের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইকটি নেওয়ার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহত ও আসামিদের মুঠোফোনের সূত্র ধরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সীমা রানী সরকার, জামালপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত)

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মালেককে হত্যা করে তাঁর ইজিবাইক নিয়ে যান তাঁরা। পরে বালির বস্তার সঙ্গে লাশটি বেঁধে একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মো. মালেক একটি নতুন ইজিবাইক কেনেন। ১২ অক্টোবর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। গভীর রাতেও তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ১৩ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী রিতা বেগম মেলান্দহ থানায় একটি জিডি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে মালেক হত্যা হয়েছেন, এ সত্য উদ্‌ঘাটন করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সীমা রানী সরকার প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইকটি নেওয়ার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহত ও আসামিদের মুঠোফোনের সূত্র ধরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইজিবাইকটিও আসামি শফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চালককে হত্যা করে বালির বস্তার সঙ্গে বেঁধে বিশাল গর্তের একটি ডোবাতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।