সাতক্ষীরায় লকডাউনে ঢিলেঢালাভাব, উন্নতি হচ্ছে না পরিস্থিতির

সাতক্ষীরা জেলার মানচিত্র

ঢিলেঢালাভাবে চলছে সাতক্ষীরা শহরের লকডাউন। উন্নতি হচ্ছে না করোনা পরিস্থিতির। মাঝেমধ্যে কমলেও বেশির ভাগ সময় বাড়ছে সংক্রমণের হার। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লকডাউনের আওতায় চলমান বিধিনিষেধ সঠিকভাবে না মানলে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

সাতক্ষীরায় লকডাউনের ১৭তম দিন আজ সোমবার। এদিন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। একই সময়ে ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫০ জনের। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ হার ছিল ৫০ শতাংশ। সে হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

এ পর্যন্ত জেলায় ১১ হাজার ৬৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৯০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। জেলায় রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা জানান, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে ২০ জন করোনা পজিটিভ রোগীসহ মোট ২২৯ জন ভর্তি রয়েছেন। যে হারে রোগী আসছেন, তাতে হাসপাতালে রোগী ভর্তি নেওয়া কঠিন হবে। রয়েছে চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন মোট ৩৪ করোনা পজিটিভ রোগী। এ ছাড়া করোনায় সংক্রমিত ৮২০ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বারবার লকডাউন দিলেও সংক্রমণ কমছে না। কারণ, বিধিনিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে যেমন গা ছাড়া ভাব রয়েছে, তেমনি বিধিনিষেধ মানাতে প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতারও অভাব লক্ষণীয়। আজ সাতক্ষীরা শহরের অনেক স্থানের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু দোকান খোলা রয়েছে। চলছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ নানা ধরনের যানবাহন।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত বলেন, মানুষের মধ্যে বিধিনিষেধ মেনে চলার প্রবণতা কম। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে করোনার বিস্তার ঠেকানো কঠিন হবে।