সাদাতকে সংবর্ধনা দিল নড়াইল জেলা প্রশাসন

নড়াইল জেলা প্রশাসন আজ সংবর্ধনা দিয়েছে সাদাত রহমান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে।ছবি: প্রথম আলো

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারজয়ী সাদাত রহমানকে নড়াইল জেলা প্রশাসন সংবর্ধনা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আজ সোমবার বেলা ১১টায় শুরু হয় ওই সংবর্ধনা। অনুষ্ঠান চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ‘কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন’ সাদাত রহমানকে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করে। ১৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত থেকে সাদাতের হাতে শিশুদের নোবেলখ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ৪২টি দেশের ১৪২টি শিশুর মনোনয়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সাদাতের বিশ্বমঞ্চে উঠে আসার দৌড়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাদাত রহমানের হাতে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন, সাদাতের বাবা মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মা মলিনা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউর রহমান, আবদুল হাই সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক, সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার বাবা গোলাম মুর্তজা, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ মলয় কুমার কুণ্ডু, মুক্তিযোদ্ধা এস এ মতিন, আইনজীবী রমা রানী রায় প্রমুখ।

সংবর্ধনায় সাদাত রহমান বলে, ‘ছোটবেলা থেকে আমার মা-বাবা আমার ইচ্ছাশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এর পেছনে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। অথচ শিশু-কিশোরদের প্রতিভা খুঁজে বের করা এবং তাদের তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতা করার কোনো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম নড়াইলে নেই। এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে আজকের প্রজন্মকে বিশ্ব-উপযোগী করে তৈরি করতে হবে।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন বলেন, সাদাত তার অ্যাপ সাইবার টিনসের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সব ধরনের তথ্য দিয়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। মামলা বা জিডি ছাড়া ওই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে সাইবার বুলিং প্রতিরোধে কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, সাদাতের অর্জন বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে। তার স্বপ্নপূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।