‘সানজিদাকে ছোড়া অ্যাসিড সরবরাহকারীর পরিচয় জানান’

অ্যাসিড নিক্ষেপকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেন নাগরিক সমাজ ও বন্ধুসভার সদস্যরা। মঙ্গলবার নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরের কলেজছাত্রী সানজিদা খাতুনকে ছোড়া অ্যাসিড সরবরাহকারীকে চিহ্নিতের পাশাপাশি দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলোর সহায়ক তহবিলের উদ্যোগে ও নাটোর বন্ধুসভার আয়োজনে অ্যাসিড–সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে বন্ধুসভার সদস্যরা ছাড়াও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন নাটোরের সন্ত্রাস–চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির (লাঠি-বাঁশি সমিতি) সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক ফরমান আলী, নাটোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও অ্যাসিডদগ্ধ সানজিদার স্বজনেরা।

আবদুস সালাম বলেন, অপরাধীদের নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর ভরসা করে বসে থাকলে চলবে না। সমাজের সবাইকে নাগরিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে। কলেজছাত্রী সানজিদা খাতুন ও অভিযুক্ত অ্যাসিড নিক্ষেপকারী মাহিম হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলও একই এলাকায়। অ্যাসিড ছোড়ার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে তিনি কীভাবে এলাকা ছাড়েন, তা ভেবে দেখতে হবে। ওই সমাজের লোকজনের দায়িত্ব ছিল তাঁকে আটক করে পুলিশের তুলে দেওয়া।

অ্যাসিড সন্ত্রাস

মানববন্ধনে বক্তারা অ্যাসিড নিক্ষেপকারীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তবে তাঁরা পুলিশের কাছে অ্যাসিড সরবরাহকারীকে চিহ্নিত ও তাঁর পরিচয়ও প্রকাশের আহ্বান জানান। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারও দাবি করেন বক্তারা।

গত রোববার সন্ধ্যার দিকে নাটোর শহর থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে সানজিদাকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মাহিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।