সাভারে শিশুকে চুবিয়ে হত্যা, খালু গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর রাজিয়া সুলতানা নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে সাভারের রাজাঘাট এলাকার বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, কানের দুল বন্ধক রাখা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে রাজিয়াকে (০৮) পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন শিশুটির খালু নাজমুল (২৬)। এ ঘটনায় নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত রাজিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবতী বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। সাভারের রাজাঘাট এলাকার একটি বাড়িতে শিশুটির মা–বাবা ভাড়া থাকেন। শিশুটি তাঁদের সঙ্গে থাকত।
গ্রেপ্তার নাজমুল রংপুরের পীরগাছা থানার চৌধুরানী এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাভারের রাজাঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
পুলিশ ও নিহত শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাজমুল, রাজিয়া সুলতানাসহ তার মা–বাবা একই এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। একসময় নাজমুল রাজিয়ার মায়ের একজোড়া কানের দুল বন্ধক রাখার কথা বলে বিক্রি করে দেন। সেই কানের দুল বেশ কয়েকবার ফেরত চাইলে নাজমুল ক্ষিপ্ত হন। গত শুক্রবার বিকেলে কাউকে না জানিয়ে রাজিয়াকে ঘুরতে নিয়ে যান নাজমুল। পরে সাভারের তরফ রাজাঘাট এলাকার একটি ডোবায় চুবিয়ে হত্যার পর রাজিয়াকে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন তিনি।
এদিকে রাজিয়াকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা আবদুল জলিল সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে নাজমুল রাজিয়ার মায়ের কাছে ফোন করে বলেন, রাজিয়া তাঁর কাছে আছে এবং ভালো আছে। গত শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুলকে আটক করা হয়। পরে তিনি ভাগনি রাজিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আজ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রাজাঘাটের একটি বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে রাজিয়ার লাশ উদ্ধার করে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নাজমুলের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।