সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে যায় শ্রেণিকক্ষে

বৃষ্টির পানি ঢুকেছে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে। গত বৃহস্পতিবার কেশবপুরের কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়েছবি: প্রথম আলো

সামান্য বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকে। টিনের চাল দিয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। শিক্ষার্থীদের সেখানে বসেই পাঠদান করা হয়। এসব সমস্যা নিয়েই চলছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

কেশবপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে কেশবপুর-নওয়াগাড়া সড়কের পাশেই কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। ১৯২১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টির মাঠে রথের মেলা, মতুয়া সম্প্রদায়ের আঞ্চলিক সমাবেশ ও শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জনের মেলা বসে। তবে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে যায়। শ্রেণিকক্ষে ঢোকে পানি। বর্ষাকালে দুর্ভোগ বাড়ে।

গত বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম পাশের টিনের চালের পুরোনো ভবনের প্রতিটি কক্ষই পানিতে থই থই। দশম শ্রেণির ছাত্রী ঋতু খাতুন জানায়, বৃষ্টি হলেই টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। বাইরে থেকেও পানি ঢুকে যায়।

ওই ভবনে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, গ্রন্থাগার, শিক্ষকদের কক্ষসহ আরও দুটি শ্রেণিকক্ষ পানিতে সয়লাব। পূর্ব পাশে পাকা ভবনটির তিনটি কক্ষে বিজ্ঞানাগার, পাশের দুটি কক্ষেও পানি। পরের ভবনটিতে তিনটি কক্ষে পাঠদান চলছে ছয়টি শ্রেণির। দশম শ্রেণির রুদ্র প্রতাপ মণ্ডল বলে, ‘তিনটি কক্ষের মধ্যে আমাদের বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। করোনার মধ্যে দূরত্ব বজায় থাকে না।’

এসএসসি পরীক্ষার্থী শামীমা আক্তার বলে, শৌচাগারে পানি ঢুকে যাওয়ায় তারা সমস্যায় পড়েছে বেশি। অষ্টম শ্রেণির জয়ন্ত মণ্ডল বলে, খেলার মাঠে বছরের চার মাস পানি জমে থাকে। তখন খেলাধুলা সব বন্ধ থাকে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬২। এত সমস্যার পরও শত বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল বরাবরই ভালো। এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার মধ্যে ২০১৩ সালে দ্বিতীয়, ২০১৫ সালে চতুর্থ স্থান অধিকার করে। পাসের হার ৯০ শতাংশ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ ও সমস্যা নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অনেকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ভবন নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা জানা আছে। কয়েকবার ভবন নির্মাণের জন্য লিখেছি। আশা করছি, ভবন নির্মাণ করা হবে।’