সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে পুঁজি করে নেতা-কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ বিএনপির

নোয়াখালীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রশিদ কলোনি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে পুঁজি করে সরকার ও প্রশাসন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রশিদ কলোনি এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ জে এম গোলাম হায়দার। আবদুর রহমান উল্লেখ করেন, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে কুমিল্লা, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার প্রতিটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় তাঁদের অনেকে এলাকায় ছিলেন না। বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী-৩) আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে একটি মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে, যা নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক বটে। শুধু তা–ই নয়, জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বলেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রতি রাতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে। কল্পিত ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার করে তল্লাশির নামে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। অবিলম্বে এ হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি। অন্যথায় নোয়াখালীর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিএনপির নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিটি অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য ছাড়া কাউকে আটক করা হচ্ছে না। আটক স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও উসকানিদাতা অন্য আরও ১৫ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছেন।