সালথায় আ.লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২৫, পুলিশের গুলি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৭টি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ শনিবার দুপুরে ভাওয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মুকা মাতব্বর ও ভাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহাব মাতব্বরের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে। আহত ব্যক্তিদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শটগানের ১৭টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা ওহাব মাতব্বর ও মুকা মাতব্বরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ দুপুর ১২টার দিকে ওহাব মাতব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে মুকা মাতব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটের টুকরোসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। এ সময় ৭টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে সালথা থানার পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহাব মাতব্বর বলেন, দুপুরে আমার সমর্থক মো. আজিজুলের বাড়িতে বিএনপির কিছু লোকজন হামলা চালান। তা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ হয়।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মুকা মাতব্বর বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।