সালথায় নাশকতার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সালথা উপজেলা চত্বরেপ্রথম আলো

গুজব ছড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে ফরিদপুরের সালথায় থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে নাশকতা ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ ছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সালথা উপজেলা সদরে এ দুটি কর্মসূচি পালিত হয়।

বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বদরপুর-সোনাপুর সড়কে সালথা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সালথা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিসসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সালথায় নাশকতার নিন্দা ও প্রতিবাদে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মানববন্ধন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে
প্রথম আলো

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বাচ্চু মাতব্বর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের, সাহেব আলী, আবদুল আলিম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ফরিদপুরের সালথায় লোকজনকে পেটানো হয়েছে এবং পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন, এ গুজব ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সালথায় পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে। এ নাশকতার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। দেশে কোনো অপশক্তিকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে এ দেশে হায়নাদের কোনো জায়গা হবে না।

আরও পড়ুন

বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে সালথা উপজেলা চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

সালথা উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছে দুই প্লাটুন বিজিবি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে
প্রথম আলো

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর, সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মাতব্বর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান। বক্তারা বলেন, করোনা বিধিনিষেধ কার্যকরে লোকজনকে পেটানো ও পুলিশের গুলিতে লোক নিহতের গুজবের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত চক্র জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি বাহিরদিয়া মাদ্রাসার মহতামিম আকরাম আলীকে গ্রেপ্তার করার গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে এ নাশকতা করেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

ভাঙচুরের পর সালথা উপজেলা পরিষদে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়। আজ মঙ্গলবার তোলা ছবি
প্রথম আলো

এদিকে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল সালথার নাশকতা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যায়। এ দলের সদস্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন