সালথায় সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান
সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় ৫ এপ্রিল রাতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে (৪০)গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের একটি দল ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ওয়াহিদুজ্জামান উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হাই মোল্লার ছেলে। তিনি ২০১৪ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

এ ঘটনায় মোট সাতটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আজকের দিন পর্যন্ত ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওয়াহিদুজ্জামনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সালথায় সরকারি অফিসে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে ওয়াহিদুজ্জামানের নাম উঠে আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ওয়াহিদুজ্জামানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সালথা থানায় এ পর্যন্ত পুলিশ বাদীসহ মোট সাতটি মামলা করা হয়েছে। এতে মোট ৩৬৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও চার হাজার ব্যক্তিকে।

এসব মামলায় আজকের দিন পর্যন্ত ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুজন আসামি গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন। অপর দুজন আসামি গুলিতে নিহত হয়েছেন।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে ও পরে নানাবিধ গুজব ছড়িয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি অফিসে সহিংসতা-নাশকতা চালান কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন তাঁরা। এ ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।