সালিসে ছুরি মেরে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সালিসে ছুরিকাঘাতে তিনজনকে হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মুন্সিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উত্তর ইসলামপুর এলাকার আবদুল মতিনের ছেলে রোকন উদ দৌলা রাফসান ওরফে রাফি (২০) ও মানিকপুর এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে তানভীর মোল্লা ওরফে রামিম (১৯)। গতকাল রোববার বিকেলে ফরিদপুর থেকে রামিম ও শরীয়তপুর থেকে রাফিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, আসামি তানভীর মোল্লা ফরিদপুর ও রোকন উদ দৌলা শরীয়তপুরে অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন মামলাসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ২৪ মার্চ বিকেলে উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সেখানে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সমস্যার সমাধান করতে সেদিন রাত ১০টার দিকে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিস হয়। সেখানে সৌরভ, সিহাব ও শামীমপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ যায় অপর পক্ষের মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধানের (৪০)। সবার বাড়ি উত্তর ইসলামপুর এলাকায়।
নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পর একটি হত্যা মামলা করে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে নাম থাকা জামাল হোসেন (৫২), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), মো. রনি (৩২), মো. ইমরান হোসেন (২০), রাহুল প্রধান (২২) এবং সন্দেহভাজন হিসেবে জামালের স্ত্রী নাসরিন বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৬ নম্বর আসামি আলভী মুনতাসিস ওরফে অভিকে (২০) গ্রেপ্তার করে। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন মামলার মূল আসামিরা।