সাড়ে ৪ কেজির কাতল শিকারের পুরস্কার দেড় লাখ টাকা

পুকুরে বড়শি ফেলে মাছের অপেক্ষায় শৌখিন মৎস্যশিকারিরা। শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার কলেজ দিঘিতে
ছবি: প্রথম আলো

২২ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন আবদুল কাদির। সারা দিন বড়শি পেতে শেষ পর্যন্ত তিনি সাড়ে চার কেজি ওজনের একটি কাতল ধরতে সক্ষম হন। আর তাতেই বাজিমাত। আবদুল কাদির প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বড় মাছটি ধরে জিতে নিয়েছেন প্রথম পুরস্কার, যার অর্থমূল্য দেড় লাখ টাকা।

আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার কলেজ দিঘিতে বড়শি (ছিপ) দিয়ে এই শৌখিন মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সরাইল ডিগ্রি কলেজ পুকুর মৎস্যচাষ সমিতি নামের একটি সংগঠন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

সরেজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ১৯ জন শৌখিন মৎস্যশিকারি অংশ নেন। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা ও হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন। মৎস্য শিকারের জন্য প্রত্যেক শিকারিকে ২২ হাজার টাকা আয়োজকদের দিতে হয়েছে। প্রতিযোগীদের জন্য ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার পাঁচটি পুরস্কার।

এর মধ্যে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদির ৪ কেজি ৫২০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে প্রথম হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা। উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের আবুল কাশেম ৩ কেজি ৯১৫ গ্রাম ওজনের রুই মাছ শিকার করে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা। ঢাকার আবিদ উদ্দিন ৩ কেজি ৪৬০ গ্রাম ওজনের মৃগেল মাছ শিকার করে তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার টাকা।

মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা দেখতে দিঘির চারদিকে দর্শকের সমাগম ঘটে। এ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন হেলাল উদ্দিন ঠাকুর।
দিঘিটির মালিক সরাইল সরকারি কলেজ ও কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি থেকে ৩ বছরের জন্য ১০ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন সরাইল উপজেলা সদরের বড্ডাপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানসহ ৫ জন। তাঁরা প্রতিবছর কয়েকবার মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর এই দিঘিতে একই রকম আসর বসেছিল। ওই আসরেও ৭ কেজি ১২৫ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে প্রথম হয়েছিলেন রাকিব খান। তখন তিনি পেয়েছিলেন দুই লাখ টাকা।