সিঙ্গাইরে ছাত্রলীগের নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

দলীয় কোন্দলের জের ধরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে মিরুকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নিহত ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় আসামিদের ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ইমরান আলী (২০), মো. সোহাগ (১৮) ও ইমান আলী (৩০)। তাঁদের সবার বাড়ি উপজেলার আজিমপুর এলাকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ফারুক হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে সিঙ্গাইর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তাঁর বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুর ফারুক জড়িত। এক মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা মোল্লা মোহাম্মদ দুলালকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

গত সোমবার রাতে উপজেলার জয়মণ্ডপ এলাকায় একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরের বাড়িতে ফিরছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন। রাত একটার দিকে সিঙ্গাইর পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুককে প্রথমে সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে তিনি মারা যান। রাত ১১টার দিকে জানাজা শেষে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় গতকাল নিহত ফারুকের বড় ভাই রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিকশা, একটি রামদা ও কয়েকটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।