সিদ্ধিরগঞ্জে বাসা থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত তরুণের হাসপাতালে মৃত্যু

মো. নাবিল
সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার মাদ্রাসাছাত্র মো. নাবিল (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গতকাল রাত আটটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লার বাসার থেকে নাবিলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবা ছগির আহমেদ। নাবিল ডেমরার গলাকাটা এলাকায় দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।

ছগির আহমেদ জানান, গতকাল সকাল আটটার দিকে তিনি তাঁর কর্মস্থলে যান। রাত আটটার দিকে বাসায় ফিরে ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তাঁর কাছে থাকা দ্বিতীয় চাবি দিয়ে তালা খুলে ঘরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে নাবিল আর্তনাদ করছেন। তাঁর বুক, পেট ও মাথায় ধারালো কিছুর আঘাতের চিহ্ন। এ সময় স্ত্রী নাছরিন বেগমকে (৪০) বাসায় পাননি। তিনি ছেলে নাবিলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জে সাইনবোর্ড প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিলের মৃত্যু হয়।

ছগির আহমেদ বলেন, তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যে তাঁর স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। তাঁর ধারণা, তাঁর স্ত্রী ছেলেকে খুন করে কোথাও চলে গেছেন।

এ বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণের মা পলাতক। তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।