সিনহা হত্যা মামলায় আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান
ফাইল ছবি

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পিপি ফরিদুল আলম আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন।

ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দফায় সিনহা হত্যা মামলার ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় ‘আসামি পরীক্ষা’ চলছে। আটজন আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিতভাবে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওই আট আসামি হলেন শাহজাহান আলী, সাফানুল করিম, কামাল হোসাইন, আবদুল্লাহ আল মামুন, নন্দদুলাল রক্ষিত, লিটন মিয়া, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও মো. রাজিব।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আদালত পরিচালনা করছেন। আসামিদের সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

আইনজীবীরা বলেন, প্রথম দফায় গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে এ মামলার সাক্ষ্য দেন দুজন। তাঁরা হলেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাত। দ্বিতীয় দফার ৪ দিনে সাক্ষ্য দেন ৪ জন, তৃতীয় দফার ৩ দিনে ৮ জন, চতুর্থ দফার ২ দিনে ৬ জন, পঞ্চম দফার ৩ দিনে ১৫ জন, ষষ্ঠ দফায় ৩ দিনে ২৪ জন, সপ্তম দফার ৩ দিনে ৫ জন এবং অষ্টম দফার ৩ দিনে ১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।