সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা

সিনহা মো. রাশেদ খান
ফাইল ছবি

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার ষষ্ঠ দফার দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন বেসরকারি মুঠোফোন কোম্পানি গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা মো. আহসানুল হক। তাঁর সাক্ষ্য নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলমসহ তিনজন আইনজীবী।

এরপর সাক্ষ্য দেবেন বেসরকারি মুঠোফোন কোম্পানি রবির কর্মকর্তা সৈয়দ আহমদ শিবলু। সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির রয়েছেন আরও অন্তত ৯ জন সাক্ষী। সাক্ষ্য শেষে সাক্ষীদের জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত পরিচালনা করছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

আইনজীবীরা বলেন, সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় আদালতের বিচার কাজ। প্রথম সাক্ষ্য দিতে আসেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা মো. আহসানুল হক। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই সিনহা হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মুঠোফোনে আসামিদের কথা বলার বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেন।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ ষষ্ঠ দফার দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ১৩ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়েছেন, এর আগে ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।

আইনজীবীরা জানান, প্রথম দফায় গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে এ মামলার সাক্ষ্য দেন দুজন। তাঁরা হলেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাত। দ্বিতীয় দফার ৩ দিনে সাক্ষ্য নেওয়া হয় ৪ জনের, তৃতীয় দফার ৩ দিনে ৮ জনের, চতুর্থ দফার ২ দিনে ৬ জনের, পঞ্চম দফার ৩ দিনে ১৫ জনের এবং ষষ্ঠ দফার প্রথম দিনে ৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি ও রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলা চারটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।