সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন লাশ হস্তান্তরকারী এসআই আমিনুল

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান
ফাইল ছবি

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ সোমবার সাক্ষ্য দিচ্ছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে সিনহার লাশ হস্তান্তর করেছিলেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় আদালতের বিচারকাজ।

এর আগে পাঁচ দফায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৩৫ জন সাক্ষীর। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। আদালত পরিচালনা করছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

আইনজীবীরা বলেন, সকালে এসআই আমিনুল ইসলামকে দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। তাঁর সাক্ষ্য নিচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলমসহ তিনজন। এরপর তাঁকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ আসামি

আইনজীবীরা বলেন, আজ সকালে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছে ১৫ সাক্ষীকে। তাঁরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই সুমন কান্তি, বাবুল মিয়া, ওবাইদুল্লাহ, রাশেদুল ইসলাম, আবুল হাশেম, মো. হাসান, আবদুল জলিল, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই আবু মুছা, র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য হিরা ও আবদুস সালাম, পুলিশের কনস্টেবল পলাশ ও মোরশেদ, নীলদরিয়া বাসের চালকের সহকারী নবী হোসেন, চা বিক্রেতা আবুল কালাম ও মাদ্রাসাছাত্র শহীদ উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ ষষ্ঠ দফার প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ১৫ জনকে হাজির করা হয়েছে। এর আগের পাঁচ দফায় ৩৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।

আইনজীবীরা বলেন, প্রথম দফায় গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন ২ জন। তাঁরা হলেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাত। দ্বিতীয় দফার চার দিনে সাক্ষ্য নেওয়া হয় ৪ জনের, তৃতীয় দফার তিন দিনে ৮ জনের, চতুর্থ দফার দুই দিনে ৬ জন এবং পঞ্চম দফার তিন দিনে ১৫ জনের।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি ও রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর কক্সবাজার আদালতে নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।