সিরাজগঞ্জে উত্তরবঙ্গমুখী মানুষের ভিড়

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে
ছবি: আরিফুল গণি

সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের গোলচত্বর, সায়দাবাদ, মুলীবাড়ি, কড্ডার মোড় ও নলকা এলাকায় কখনো যানজট, আবার কখনো ধীরগতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১১টার পর যানবাহনের গতি কমে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। সদর উপজেলার কড্ডার মোড় থেকে জেলার চান্দাইকোনা বাজার পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়। এর কিছুক্ষণ পরই আবার ধীরগতিতে গাড়ি চলতে দেখা যায়। মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী গণপরিবহন বেশি দেখা গেলেও ঢাকাগামী গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন দিচ্ছে সরকার, এমন কথা শুনে গতকাল রোববার থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিপুলসংখ্যক যানবাহন মহাসড়কে নেমেছে। ফলে এই মহাসড়কে দফায় দফায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনা ঘটে। যে কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে ভুইয়াগাঁতী এলাকায় দুটি ট্রাকের সংঘর্ষ হওয়ার ফলে হাটিকুমরুল-চান্দাইকোনার ১৯ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে মহাসড়কে সার্বক্ষণিক কাজ করা হলেও কোনোভাবেই যানবাহনের চাপ কমানো যাচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে মুলিবাড়ী পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গণপরিবহনগুলো অধিক যাত্রী নিয়ে মহাসড়কে চলছে বলে জানান তিনি।