সিরাজগঞ্জে দুই কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ সদরে দুই যুবকের বিরুদ্ধে কলেজপড়ুয়া দুই ছাত্রীর (১৭) আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদরে দুই যুবকের বিরুদ্ধে কলেজপড়ুয়া দুই ছাত্রীর (১৭) আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই দুই কিশোরী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে নাইম হোসেন (২২) ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর (২২) মিলে বাদীর মেয়েসহ দুই কলেজছাত্রীকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে তাঁরা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে সামাজিকভাবে তাঁদের হেয় করার উদ্দেশ্যে সেই ছবি ও ভিডিওগুলো নাইম হোসেন তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করেন। যে কারণে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তাঁর পরিবার সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছে।

ভুক্তভোগী ওই দুই কিশোরী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এক ছাত্রীর বাবা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত তরুণদের সঙ্গে একসময় পারিবারিকভাবে তাঁদের ভালো সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে সামাজিকভাবে তাঁদের হেয় করার উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে এ ধরনের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেছেন।

এ ঘটনার পর থেকে নাইম ও সাগর পলাতক। অভিযুক্ত সাগরের বাবা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনে সমাধান চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।’ একই গ্রামের বাসিন্দা নাইমের বাবা বাদশা শেখ বাড়িতে না থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডেকেছি। উভয় পক্ষ এগিয়ে এলে বিষয়টি নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে আমি মনে করি।’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অধিভুক্ত হওয়ায় এটি তদন্তের অনুমতির জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।