সিরাজদিখানে আ.লীগ ও হেফাজতের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৪০

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সংঘর্ষে আহত সিরাজদিখান থানার ওসি এস এম জালাল উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা একটার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর-নিমতলা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় হেফাজত নেতা মধুপুর পীর আবদুল হামিদ, মাওলানা বসির আহম্মেদ, সিরাজদিখান থানার ওসি এস এম জালাল উদ্দিন, থানার উপপরিদর্শক সেকান্দর আলীসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা সিরাজদিখান ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. নাসির হোসেন বলেন, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সকাল থেকেই মধুপুর পীর আবদুল হামিদের নেতৃত্বে সড়কে অবস্থান নেন হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা। সকালে হেফাজতের একাংশের কিছু নেতা–কর্মী ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। কর্মসূচি শেষে নিমতলা এলাকার নেতা–কর্মীরা মধুপুর পীর যেখানে অবস্থান করছেন, সেদিকে যাচ্ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি পুলিশ অবস্থান করছিল। পুলিশের সঙ্গে লাঠিসোঁটাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরাও ছিলেন।

সিরাজদিখানে সংঘর্ষে আহত মুধুপুর পীর হিসেবে পরিচিত আব্দুল হামিদ
ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হেফাজতের নেতা–কর্মীরা যখন কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের দিকে অগ্রসর হন, ঠিক তখনই শুলপুর এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। এ সময় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তী সময়ে রাবার বুলেট এবং ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে পুলিশও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও হেফাজতের অন্তত ৪০ নেতা–কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আজহার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি, হেফাজতের লোকজন মহাসড়কে ব্যারিকেড দিতে যাচ্ছিল। এ কাজে তাঁদের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানার ওসিসহ অনেকই আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করে সংখ্যা বলা হচ্ছে না।’