সিলেটে তরুণী ধর্ষণ: তারেকুল পাঁচ দিনের রিমান্ডে

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি তারেকুল ইসলামকে বুধবার বিকেলে সিলেটে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
প্রথম আলো

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ কর্মী তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেককে (২৮) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক আবুল কাশেম তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সৈয়দ শামীম আহমদ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন শুনানিতে অন্য আসামিদের মতো তারেকুলের পক্ষেও কোনো আইনজীবী অংশ নেননি। পিপি সৈয়দ শামীম আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বাদীপক্ষে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শতাধিক আইনজীবী অংশ নিলেও আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশেষ পর্যায়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন তারেকুল। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে চুল–দাড়ি ফেলে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে তাঁকে শাহপরান থানায় সোপর্দ  করে র‌্যাব।

আরও পড়ুন

এ পর্যন্ত ধর্ষণ মামলায় এজহারভুক্ত ছয়জন আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ তিনজন, দ্বিতীয় ধাপে সন্দেহভাজন দুই আসামিসহ তিনজন এবং তৃতীয় পর্যায়ে তারেকুলসহ দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হলো।

গত শুক্রবার ধর্ষণের ঘটনার পরদিন তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নামোল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ছিল দু-তিনজন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) প্রথম আলোকে বলেন, এজাহারভুক্ত ছয়জন আর এজহারের বাইরে থাকা দুজনসহ মোট আটজন গ্রেপ্তার হওয়ায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার পর্যায়ে রয়েছে।

গত শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন