সিলেটে দেড় মাস পর কবর থেকে আইনজীবীর লাশ উত্তোলন

হত্যা
প্রতীকী ছবি

হত্যার প্রায় দেড় মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আনোয়ারের মরদেহ উত্তোলন করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আনোয়ারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী শিপা বেগম। ১৩ জুন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। যদিও আনোয়ারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ৩০ এপ্রিল ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল। প্রায় দেড় মাস পর আজ কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হলো। লাশ উত্তোলনকালে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিনসহ তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় শাহজাহান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে গোপনে বিয়ে করেন শিপা। এতে আনোয়ারের পরিবারের সন্দেহ হলে ঘটনার প্রায় এক মাস পর ১ জুন আনোয়ারের ভাই মনোয়ার হোসেন আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরদিন আদালতের নির্দেশে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় শিপা বেগম ছাড়াও আনোয়ারের শাশুড়ি রেশনা বেগম, শিপা বেগমের বর্তমান স্বামী শাহজাহান চৌধুরীসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এরপর ৩ জুন শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, শিপাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। ১৩ জুন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিপা বলেন, ২৯ এপ্রিল রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্বামী আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করেন।